বিশ্বব্যাপী ইসলামের আলো নিভিয়ে দেয়ার জন্য চতুর্মূখী ষড়যন্ত্র চলছে: অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজী

০২ ডিসেম্বর ২০২৪
মাদরাসা শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের ব্যানারে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ব্রিটিশ শাসনামল থেকে এ পর্যন্ত দেশের মাদরাসা শিক্ষা, শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের ভাগ্য উন্নয়নের একমাত্র অবদান জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের। ইসলামি তাহজিব-তামাদ্দুন রক্ষা হলে, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ঠিক থাকবে। মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের পেশাজীবী অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন মহাসচিব অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজী এসব কথা বলেন।
২ ডিসেম্বর সোমবার বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন বরিশাল মহানগর ও জেলা শাখার উদ্যোগে বাঘিয়া আল আমনি কামিল মাদরাসা মিলনায়তনে বরিশাল মহানগর ও বৃহত্তর বরিশালের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের বরিশাল মহানগর সভাপতি ড. মাওলানা মোহাম্মদ আবু বকর ছিদ্দীকের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জমিয়াত কেন্দ্রীয় মহাসচিব বলেন, ইসলামকে সমুন্নত রাখা, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (স.) দ্বীন কায়েমের লক্ষ্যে মাদরাসা শিক্ষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। সত্যিকারের আল্লাহ ওয়ালা ও ওয়ারেসাতুন্নবী তৈরির ব্যাপারে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ইসলামের আলো নিভিয়ে দেয়ার জন্য চতুর্মূখী ষড়যন্ত্র চলছে। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য দ্বীনি শিক্ষার প্রতি আরো মনোযোগী হওয়া দরকার। যুগযুগ ধরে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন সে লক্ষ্যেই অগ্রসর হচ্ছে। সংগঠনের বর্তমান সভাপতি আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন পূর্বসূরীদের দেখানো পথ থেকে মোটেই বিচ্যুত হননি। বরং তাঁদের স্বপ্ন ইসলামি তাহজীব তামাদ্দুনকে সমুন্নত করার লক্ষ্যে জমিয়াতের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করছেন। আমরা ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাঁর হাতকে আরো শক্তিশালী করার ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মাদরাসা শিক্ষার ইতিহাসে এ পর্যন্ত যা কিছু অর্জিত হয়েছে তার পুরোটাই জমিয়াতের অবদান, যা অস্বীকার করা কোনই সুযোগ নেই। তিনি বরিশাল অঞ্চলের জমিয়াত নেতৃবৃন্দকে আরো সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।
মহাসচিব বলেন, শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশকে অশান্ত ও উত্তপ্ত করণের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ইসকন তথা ভারতের প্রচেষ্টা চলমান। শুধু দেশের শান্তি শৃঙ্খলা ক্ষুণ্ন নয় বরং ইসলামি আদর্শ ও নীতি নৈতিকতার উপর কুঠারাঘাতের নীল নকশা অঙ্কন করেছে। ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ ও দ্বীনি শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমে তাদের কুচক্রকে প্রতিহত করতে হবে। মুসলমান নামধারী কিছু মুনাফিক সব সময়ই ছিল এবং থাকবে। তাদের চিহ্নিত করে সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। তাদের দেয়া বিভিন্ন প্রলোভনে যাতে নিজেদের আদর্শ ও ঐতিহ্য থেকে সরে না যাই সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। তিনি এ অনুষ্ঠান থেকে সম্প্রতি জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের পিরোজপুর জেলা সেক্রেটারি মাওলানা ফারুক আহমদের উপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানান। এবং হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবী জানান।
সভাপতির বক্তব্যে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের বরিশাল মহানগরীর সভাপতি ও বাঘিয়া আল আমীন কামিল মাদরাসা অধ্যক্ষ ড. মাওলানা মোহাম্মদ আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, বরিশালে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের অবস্থান অত্যন্ত মজবুত ও শক্তিশালী। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী যেকোন সময়ে যেকোন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সর্বদা আমরা প্রস্তুত আছি। জমিয়াত সভাপতির দূরদর্শিতা ও মহাসচিবের কৌশলী পদক্ষেপে এদেশের মাদরাসা শিক্ষায় অভুতপূর্ণ উন্নয়ন সাধন হয়েছে। আগামীতেও এর ধরার অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ্ মো. মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রব, উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোবাশ্বিরুল হক নাঈম, অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর মো. ছাদেক হাসান, অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ্ মাহমুদ ওমর জিয়াদ, অধ্যক্ষ মাওলানা হারুনুর রশিদ, অধ্যক্ষ শাহ্ মো. সাইফুল্লাহ, অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, অধ্যক্ষ মাওলানা ইদিস মিয়া, অধ্যাপক মাওলানা মাহবুবুর রহমান। এসময় বৃহত্তর বরিশালের সকল জেলা সভাপতি ও সেক্রেটারি, বরিশাল জেলার সকল উপজেলার নেতৃবৃন্দসহ মহানগরীর বিভিন্ন স্তরের মাদরাসা শিক্ষকগণ উপস্থত ছিলেন।