প্রিন্সিপাল শাব্বীর আহমদ মোমতাজী: ভিন্ন মতাদর্শের কারিকুলাম প্রণয়নে দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হবে
০৮ অক্টোবর ২০২৩
বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও কৃষ্টি-কালচার প্রতিষ্ঠার জন্য একদল অপশক্তি এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশেষ করে মাদরাসা শিক্ষায় ভিন্ন ধারা ও ভিন্ন মতের কারিকুলাম প্রণয়নের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। যা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। ৯৫ শতাংশ মুসলমানের দেশে এ ধরনের কারিকুলাম সর্বাবস্থায় বর্জনীয়। শিরক ও কুফরী মতবাদ সম্বলিত শিক্ষা ব্যবস্থা দেশের সাধারণ জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। গতকাল দেশের মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের পেশাজীবী অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের কেন্দ্রিয় মহাসচিব প্রিন্সিপাল শাব্বীর আহমদ মোমতাজী এসব কথা বলেন।
জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রিন্সিপাল মো. একরাম হোসাইনের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারী প্রিন্সিপাল মো. আব্দুল হান্নান এর সঞ্চালনায় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রিয় মহাসচিব বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অবিচ্ছিদ্য অংশ মাদরাসা শিক্ষা, তবে সাধারণ শিক্ষার সাথে মাদরাসা শিক্ষার কিছু ভিন্নতা রয়েছে। দ্বীনি শিক্ষা তথা মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের কেবল দুনিয়াবী শিক্ষায় শিক্ষিত করা হয় না বরং সত্যিকারের নায়েব রাসূল (স.) ও ওয়ারিসাতুল আম্বিয়া হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করাই মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য। সমাজ থেকে অপসংস্কিৃতি, অন্যায়-অনাচার, অশ্লীলতা, মাদক, জঙ্গীবাদসহ সকল ধরণের অন্যায় ও অনৈতিক কর্মকান্ড দূরীকরণের প্রত্যয় নিয়ে আমরা সামনে অগ্রসর হচ্ছি। বিশেষ করে মহান রাব্বুল আলামীনের একত্ববাদ, প্রিয় রাসূল (স.) এর আদর্শ প্রতিষ্ঠাই আমাদের মূল লক্ষ্য। কিন্তু বর্তমানে দেশের সকল ধারার শিক্ষা ব্যবস্থার কারিকুলাম প্রণয়নকারীদের মাঝে একদল ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রায়াস চালাচ্ছে। যা দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভুতিতে কুঠারাঘাত করবে। এর দরূন দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হবে। ৯৫ শতাংশ মুসলমানের দেশে ভিনদেশী ভিন্ন ধর্মালম্বিদের মতাদর্শকে প্রাধান্য দিলে পরবর্তী প্রজন্ম শিরক, কুফরের মত জঘন্য গুনাহের দিকে ধাবিত হবে। যা সাধারণ জনগণ কখনই গ্রহণ করবে না। তিনি নীতি নির্ধারণী কর্তৃপক্ষকে এহেন আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য অনুরোধ জানান।সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, কিছু কিছু শিক্ষক সংগঠন ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গত ৫ অক্টোবর শিক্ষক দিবসকে কেন্দ্রকরে শিক্ষকদের মাঝে অপ্রচার চালিয়েছে। তারা সাধারণ শিক্ষকদের আশ্বাস দিয়েছে এই দিনে দেশের শিক্ষকগণের প্রয়োজনীয় দাবিসমূহ বাস্তবায়িত হবে কিন্তু বাস্তবিকতা ভিন্ন। প্রয়োজনীয় প্রাপ্য তো দূরের কথা শিক্ষকরা কিছুই পায়নি। এ ধরনের ভিত্তিহীন আশ্বাস সাধারণ শিক্ষকদের মনে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। যারা সরলতার সুযোগ নিয়ে সাধারণ শিক্ষকদের থেকে সুবিধা গ্রহণের জন্য অপ্রচার ছড়াচ্ছে তাদের থেকে সতর্ক হওয়ার জন্য নেতৃবৃন্দ সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করে কেন্দ্রিয় নেতা ও কুমিল্লা আলিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল¡ মাওলানা আব্দুল মতিন, প্রিন্সিপাল মো. আব্দুল মোতালিব, প্রিন্সিপাল মো. আশেকে এলাহি, প্রিন্সিপাল মো. এনামুল, প্রিন্সিপাল মো. আব্দুল হক আজাদ, প্রিন্সিপাল মো. আবুল কালাম, প্রিন্সিপাল মো. জয়নাল আবেদীন, প্রিন্সিপাল মো. আবু তাহের, প্রিন্সিপাল মো. খুরশিদুল আলম, প্রিন্সিপাল মো. সুলতান আহম্মেদ, প্রিন্সিপাল মো. লোকমান হোসাইন, প্রিন্সিপাল মো. মেরাজ হোসাইন, প্রিন্সিপাল মো. নাজমুল আলম, প্রিন্সিপাল মো. আহসানুল হক, প্রিন্সিপাল মো. আব্দুল কাইয়ুম, প্রিন্সিপাল মো. আলমগীর হোসাইন, প্রিন্সিপাল মো. আব্দুল কাহ্হার, উপাধ্যক্ষ মো. ইসমাইল ভুইয়া, সুপার মো. মিজানুর রহমান, সুপার মো. আব্দুর রউফ, প্রভাষক মো. আব্দুল কাদির, সহকারী মৌলভী মো. কামাল উদ্দীন প্রমুখ।